এম এইচ সামাদ,নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
বারহাট্টা থানার মান্দারতলা এলাকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মনি আক্তার (১১) গত ৩০ তারিখ সকাল ৭:৩০ ঘটিকায় বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়া শেষ করে নিমিত্তে বের হয়৷ সকাল ১০ টায় প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ভিকটিম আর নিজ বাড়িতে না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ খবর নেয়াসহ মাইকিং করেন৷
পরের দিন সকাল ৯:১০ ঘটিকায় ঐ এলাকার আ: হাকিমের বাড়ির পাশে জঙ্গলের সাথে গর্ত থেকে প্লাস্টিকের সুতলী দিয়ে পা বাঁধা এবং ওড়না দিয়ে মুখ ও মাথা বাঁধা অবস্থায় ভিকটিমের লাশ উদ্ধার হয়৷ সুরতহালে ভিকটিমের শরীরে জখমসহ ধর্ষণের আলামত পরিলক্ষিত হয়৷ লাশ উদ্ধারের পর পরই পুলিশ সুপার, নেত্রকোনা সহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷
পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুন্সীর নির্দেশনায় ও সার্বিক তদারকিতে এবং অতিঃ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পদে কর্মরত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম পিপিএম-সেবা এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে এক চৌকস টিম মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে নিরলসভাবে কাজ করে। নানা জায়গায় অভিযান করে, ৫ তারিখ সকালে ঘটনার সাথে জড়িত একমাত্র আসামী সুলতান মিয়াকে (২৬) বাউসী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে৷
আসামী সুলতান মিয়া ৫ তারিখ বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ গুম করার বিষয়টি বর্ণনা করে৷ আসামী সুলতানের বাড়ি ভিকটিমের প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়ি যাওয়ার পথের পাশেই৷ ঘটনার দিন আসামী শিশু ভিকটিমকে টার্গেট করে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দিলে রাজী হয় নি বলে জানালেন আসামী।